জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

শনিবার, ২৫ জুন, ২০১১

বাসনা

ইচ্ছে করে গোলাপটাকে চড় মেরে
ফেলে দেই হাসনাহেনার আবর্জনায়
লজ্জায় পড়ে হলেও গোলাপটা গন্ধ শিখুক
শুধু রঙের সাজে কি ফুল হওয়া যায়???

মুঠো ভর্তি মরিচের গুড়ো
ইচ্ছে করে আলোর চোখে ডলে দেই
উজ্জ্বলতার অহংকার তো শিখেছে খুব
এবার কাঁদতে কাঁদতে শিখুক সে অন্ধকার!!!

মেঘের মাথা ফাটিয়ে জল নামাই
ইচ্ছে হলে সেই জলে আগুন পোড়াবো
হতচ্ছাড়া আগুন শিখুক দহন কেমন লাগে!!!

সেই দিন মাত্র হাটতে শেখা- দমকা হাওয়া;
আজ কাল বৈশেকের মুখোস পরে দিচ্ছে ছুট
ইচ্ছে করে ল্যাং মেরে ফেলে দেই,
হতচ্ছাড়াটা শিখুক শহুরে বাতাসের মত
ভীষণ জ্যামে আটকে থেকে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলতে!!!

ইচ্ছেটার ইদানীং ছায়াপথ জুড়ে বিচরণ
ইচ্ছে করে ইচ্ছেটাকে বেদম প্রহারে শেখাই বাস্তবতা
শুকতারার আলোতে লুকাতে চাইলেই কি সম্ভব?
দেখুক সে তার খামখেয়ালির পরিণতি— আমার আত্মদহন!!!

রবিবার, ১৯ জুন, ২০১১

সম্ভাব্যতার অন্ধকার অংশ

এইসব যদি জানা হয়ে যায়---
আমরা যদি আমাদের প্রশ্নের উত্তর খুঁজে না পাই?
অথবা ধর যদি উত্তর পাই
কিন্তু তা মেনে নিতে আমরা নারাজ
কিংবা উত্তর আমাদের বোধগম্য নয়
যদি ধর আকাশটা আর ভালো না লাগে
ঘাসের বিছানায় যদি ধর লাল পিঁপড়ের বাসা
যদি এমন সময় আসে এক দিন
যানজটে বসে সূর্যাস্ত দেখে দেব রিক্সার হুড তুলে
যেন সেই সময়গুলোর সাথে হটাত মিল খুঁজে না পাই
যদি ধর একদিন শহরের এই খাদ্য-গুদাম গুলোয় আর না আসি
চকচকে প্লাস্টিকে মোড়ানো মেনু কি আমাদের খুঁজবে?
অথবা যদি শুধু আমি আসি কিংবা শুধু তুমি
তবে আমরা কি তখন একা একা আসব?
অটুট বিশ্বাসে একদিন ধর দুজনেই দুজনার সীমানায়
যদি সেই বিশ্বাসই ভেঙ্গে যায়?
আমরা কি তখন খুব বেশি অবাক হব?
যদি একদিন তোমার জন্য ঘর-ছাড়া আমি
অথবা আমার জন্য ঘড়-ছাড়া তুমি
সামান্য সময়টুকুই খুঁজে না পাই?
তবে কি আমরা দুজনেই ভাববো "এভাবে তো চাইনি"

শুক্রবার, ৩ জুন, ২০১১

কাব্য-পত্র

প্রিয় কবি,
হ্যাঁ, আপনাকেই সম্বোধন করে বলা বললাম
শুনেছি ইদানীং কুয়াশার সাদায় আপনার ঘোর লেগে থাকে
কল্পনার অলিগলিতে রাতবিরেতে আপনার আনাগোনা
শুধু আপনায় 'কবি' বললেই হতচকিত হয়ে পার্থিব জগতে দৃষ্টি ফেরান
তবে শুধুই একবার এবং অর্ধেক মুহূর্তকালের জন্য

প্রিয় কবি,
জীবন, সমাজ, সম্পর্ক, মানুষ
এসবই শুনেছি আপনার কাছে দুর্বোধ্য কিছু শব্দ মাত্র
মায়া, আবেগ, উল্লাস, দুঃখ
এসব দেখে আপনি অবাক হন-
কেন বলুন তো?
কেন নিজেকে এই জগতের বাইরের মনে হয়?
কেন চারপাশ তাকান অবাক দৃষ্টিতে?
আপনি তো পর্যটক নন

প্রিয় কবি,
বলুন তো কেন তাণ্ডব আপনার ভালো লাগে?
কেন মেখে দেন বারুদের গন্ধ কৃষ্ণচূড়ায়?
বলুন তো কেন প্রবল জলোচ্ছ্বাসে আপনি ছুটে যান সাগর তীরে?
কেন বিদ্যুতে পোড়া ছাই দিয়ে লিখেন নিজের নাম?
বলুন তো কেন বখাটে সময়গুলো আপনার ভালো লাগে?
এখন তো লাঠিয়ালও নেই আর চড় দখলও নেই
তাই মাঝে মাঝে কবিয়াল আপনি দখল করেন বর্ণমালা

প্রিয় কবি,
নক্ষত্র রাজ্য হতে শুরু করে নগরীর অন্ধ-গলির
সবাই ঠিকই জানে- আপনি কবি নন
আপনি কেবলই শব্দের অপারদর্শী রাজমিস্ত্রি
ধার করা সব বর্ণমালা গেঁথে চলেন- কাব্য প্রাসাদ বানাবেন বলে
আপনার কবিতাগুলো অতি হিসেবি
বলি- অঙ্ক কষে কি কবিতা লেখা হয়?
আগেই জেনেছিলেম আপনি কাণ্ডজ্ঞানহীন
এখন দেখছি দিনে দিনে চড়ুই পাখির মত বেখেয়ালি হয়ে যাচ্ছেন
যেখানে সেখানে পাওয়া যাচ্ছে আপনার পরিত্যক্ত কালো-বাদামী পালঙ্ক!!!


বৃহস্পতিবার, ২ জুন, ২০১১

পরিচিত অপরিচিতা

এতটাকাল পর জানা যাবে তোমাকে জানা হয়নি
বর্ষা এসে চলে যাবে
নগরীর এই গলির রাস্তা ভিজবে না
বৃষ্টির অপেক্ষায় থাকা আমি জানব না কি কারণ

মুঠোফোনে একদিন ফোন করা হবে
হটাত তোমায় মনে পড়ে গেল বলে
রিং হবে অনেকক্ষণ, তুমি তুলবে না;
তারপর যান্ত্রিক কণ্ঠে এক তরুণী জানাবে
"এই মুহূর্তে সংযোগ দেয়া সম্ভব নয়"
তখন আমি ভাববো-
এতটাকাল পরও তোমাকে জানা হয়নি

"স্পর্শের বাইরে কি থাকতে পারে ভালবাসা?"
"তোমার ছায়া হীনে কি তপ্ত এই মন কি পাবে অবসর?"
এইসব জিজ্ঞেস করলে আমাকে বোকা ভেবে  তুমি হাসতে.
কিন্তু এখন শুধুই শোনা যাবে তোমার নিরুত্তর নীরবতা
তারপর জানব- এতটাকাল পরও তোমাকে জানা হয়নি

যদি কোন একদিন আমি দাড়িয়ে রাজপথে
তুমি একবারও হাসবে না- দেখেও দেখবে না
দ্রুত পায়ে যাবে দূর থেকে দুরে
হাতে থাকা তোমার প্রিয় অর্কিড তখন জানাবে আমায়
-এতটাকাল পরও তোমাকে জানা হয়নি!!!