জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

শুক্রবার, ১২ জুলাই, ২০১৩

লেশ

থার্মোমিটার, দাড়িপাল্লা অথবা হলুদ গজফিতা
বলতে পারে না কতটা সাইক্লোনে মানুষ বদ্ধ উন্মাদ হয়
উন্মাদনা কতটা চূড়ান্তে গেলে সে স্বাগত জানায় একটা ক্রাশ-ল্যান্ডিং-এর
ত্রিশহাজার ফুট উপরের নাবিকেরা বেশ গম্ভীর
সানগ্লাসের সামনে ভেসে ওঠা একটা অ-ঊর্মিল মেঘ সিন্ধু
এসব দেখে আমরা যারা বেদুইন, শুধু তারাই উত্ফুল্ল হই প্রশান্তির কঙ্কালে
আমরা জানি, আমাদের অস্তিত্ব মাহলের সিম্ফনি নাম্বার ৬-এর মতই ট্রাজিক
মনগড়া গল্পের নাইকারা বৃষ্টিতে যতই ভিজুক না কেন
আমরা কখনই কাঠপেন্সিলে আঁকবো না কাগুজে নৌকা
কারণ, গল্পের সবথেকে বিষাদময় অধ্যায় অস্তিত্ব ছাপিয়েও বেচে রয়

বখাটে

বীনের সুরে গিটার বাজালেই নাগিনী আসার গ্যারান্টি নেই
বুঝে গেছি চক বোর্ডে লিখে দিলেই হয় না এস প্লাস এল
লিপস্টিক, আইল্যাসে আহত তরুণদের জন্য হাসপাতালে সিট্ নেই
দুই ইঞ্চি মুখ ডুবিয়ে ভরদুপুরে মরে যাওয়া
ভাঙ্গা আয়নায় নিজেকে দেখতে দেখতে চোখের জল চেখে দেখা
হাঁটতে হাঁটতে কাগুজে রাস্তায় এগারোশ সাতান্ন মাইল যাওয়া
তামাক আর ঘুমের ডায়েটে দুই দিন সাড়ে চার ঘন্টা থাকা
এসব শৃঙ্খলাবদ্ধ প্যাথেটিক উন্মাদনার কোন মানে নেই
আমরা জানি প্রচন্ড শীতে পরীরা আকাশে উড়ে না,
সুযোগ বুঝে আমরা তাই কাঁচি হাতে পরীদের পিছে ঘুরি

বৃহস্পতিবার, ২০ জুন, ২০১৩

অত্মহুতি অথবা ড্রাগস

জিগ্গেস করলেই বলে দিতে পারি কেন ড্রাগস করতে ইচ্ছে করে
তবে বললেই কি কেউ শুনবে?
তৈরী আছে উপদেশ যুদ্ধ-বিমানের ক্লাস্টার বোমা
ঝাপসা ব্যাঙরা কখনও ল্যাবে ডাইসেক্ট হয় না
পপকর্ন নিয়ে তাই গ্যালারিতে বসে দেখি ট্রাজিক অপেরা
কি অদ্ভুত অমায়িক একটা বিষাদকে ঘিরে প্রান খুলে হাসা-হাসি
নতজানু ল্যাম্পপোষ্টের আলোয় ভিজে যখন জীবনের রিস্টার্ট বাটনটা খুজি
যখন গিলে খেতে ইচ্ছে করে সূর্যটাকে; সায়োনাইড ভেবে
তখন এক সিরিন্ঞ্জ মরফিনের সাধ জাগে

বুধবার, ২৯ মে, ২০১৩

সাংকেতিক

নিহত কবিদের সভায় মৃদু হইচই
এমিলি ডিকেন্সনের স্বপ্ন থেকে বের হতে চাই না
দেখিয়ে দিতে চাই তারাপদ রায়কে-
চাইলেই ভ্রমন করা যায় আম গাছের ছায়া নিয়ে
এতটা নাছোড়বান্দা তো কখনই ছিলাম না
-ভাবে অংক বইয়ের শেষ পাতার কবিতাগুলি
পকেটে রাখা রোদ মরে গেলে মরে যাক
চাঁদের দিকে মুখ তুলে গালি দিক নেকড়ে
আমি তবু সড়কদীপে গাছের কঙ্কাল ছাড়ব না
দরকার হলে শহরের সমস্ত সড়কদীপ দখল করব
সাথে থাকবে এক ঝাঁক লাঠিয়াল দাঁড়কাক

মঙ্গলবার, ২৮ মে, ২০১৩

একান্নশ তেরাশি

প্রত্যেক বেড়ালের স্বপ্নে মাছেরা ক্যাটওয়াক করে
যদিও সত্য-পুরুষেরা স্বীকার করবেন না; তবুও বলি-
মন্দের রঙ্গে ভিজতে ভিজতে যখন
ট্যাম্পোরাল লোব বেমালুম মুছে দেয় স্বচ্ছ ছেলেবেলা
তখন প্রবল ইচ্ছা জাগে খুন করার
আমরা সবাই জানি- বখাটে পানকৌড়িগুলোর চাঁদাবাজির ভয়ে
মালদার মাছরাঙ্গারা ঝিলের ধারে পাখাটাও বাড়ায় না
আমরা তবু পণ্ড করতে ভালবাসি বেড়ালের স্বপ্নের রানওয়ে
উলুবনে মুক্ত ছড়াতে ছড়াতে ঢিল ছুড়ি ঝিলে

আমরা সেই কবে ঝড়ে উড়ে এসে পলিথিনের মত
রিক্সার চাকায় আটকে ভাবছি মিন্টু রোড কেন ভিআইপি হল
সব অবান্তর ভাবনাকে যদি চোখ বেধে গুলি করা যেত
তবে আমাদের মনে এতটুকু আফসোস থাকত না
অপ্রকৃতিস্থ হয়ে অশ্বিনী নক্ষত্রে কষে লাথি মারতে টিকিট কাটতাম না
শুনেছি স্বর্গের গেস্টলিষ্টে আমাদের নাম নেই
তাই গুগলে সার্চ দেই স্বর্গ তৈরির রেসিপি:
চানাচুর, কোক আর গঞ্জিকা...

সোমবার, ৬ মে, ২০১৩

বিদেশিনী

নগরীর চন্দ্রপ্রভায় তপ্ত উপপথে
তোমার সাথে আবার ভ্রমণবীথি হবে কিনা জানা নেই
জানা নেই- অয়োময় রেলিঙে বসে দেখা হবে কি
লাল-সাদা আলো জ্বেলে শত-মাইল বেগে ছুটে চলা বাহন?
অ্যালকহলে উথলে ওঠা মায়ায় তোমার স্বর্নিল কেশ
আবার কি ছুয়ে যাবে আমায়? -জানা নেই
তবুও আমি প্রতিক্ষায় রইলাম এমন আরো স্নিগ্ধ মাতাল রাতের

হে বিদেশিনী- যদিও জানি না আবারও কি দেখা হবে

মরফিনের আশির্বাদ


হাসি মুছে যায়
তামাক পোড়া বাউন্ডুলে কিশোরের ঠোট হতে 
হাসি মুছে যায় 
বৃষ্টিবিলাসী ওই কিশোরীর রাঙ্গা ঠোট হতে 
পৃথিবীর বিষাক্ত চুম্বনে
ঠোটগুলো সব কালচে নীল 
একদিন হাসি মুছে যায়
ভেবেছ কি নক্ষত্রের দোষ তোমাকে ছোবে না?
ভেবেছ কি রুপকথা তোমাকে দেবে অন্য এক জীবন

আমি ঘুমতে চাই; অনেক অনেক বছর ঘুমিয়ে থাকতে চাই
মরফিনের আশির্বাদে প্রশান্তি বয়ে যাক আমার আত্নায়