জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১০

অভিশপ্ত স্বাভাবিকতা

আমার মত কিছু অভিশপ্ত সত্তা
কখনো পারে না ছুঁয়ে যেতে হৃদ-ছায়া
-নিয়ম নেই
আমার আকাশকে চিনতে হয়;
দু'দণ্ড সময় দিতে হয়
সূর্যের আলো ঝরে আকাশের রক্তক্ষরণে;
-এসব আমাকে বুঝতে হয়
তবে তোমার বোঝার কোনই প্রয়োজন নেই
-সারা বেলা তোমার সুর্যবিলাস

আমার হারিয়ে যেতে বারণ- তাই হারাতে পারছি না
হারালে মহাকাশের কৃত্রিম উপগ্রহরা ঠিকই আমায় খুঁজে নেবে
আমার অবুঝ সব ভুলগুলো শবাধার হতে তুলে এনে
প্রতিটি ভুলের জন্য শাসন করবে- তখন আমি নতনেত্রে নীরব

জানি কোন প্রয়োজন নেই
তবুও নিমন্ত্রণ জানিয়ে রাখলাম
তুমি আসবে এবং যাবে- তোমার খেয়াল-খুশি মত
আমি থাকব আমার ঠিকানায়- আমাকে থাকতেই হবে
অথবা তোমার আহবানে আমি তেপান্তর- কিংবা আরও কিছুদূর

বলা হয়নি কিছুই স্পষ্টতায়- তবে আগামীতেও হবে না
বলার প্রয়োজনও ছিল না এবং বলেও কিছু হত না
সেদিন এবং অনেক আগেই তুমি বুঝেছিলে
জানি সঙ্গত কারণেই অসঙ্গত আমাকে এড়িয়ে গিয়েছ
ভেবো না আমি এড়াতে চাইনি
স্বাভাবিকতার দোহাই দিয়ে গড়তে চেয়েছিলাম ঘোলাটে কাঁচ
তবে পারিনি

তুমি থাকতে চাও স্পর্শের বাইরে- এবং থাকছ
জানি আমি ভেঙ্গে যাই বারবার-
তবুও তোমায় বাধা দেবার স্পর্ধা আমার নেই

দেয়ালের আড়ালে ছায়ায় শ্রাবণের পবন আয়োজন চলবে অহর্নিশ
কিন্তু সব লুকিয়ে রাখতে হবে- স্বাভাবিকতা আমার জন্য বাধ্যতামূলক
একটিবারও কেউ জানবে না- ওপারে তাণ্ডবে-তাণ্ডবে সব ধ্বংশস্তুপ
তারপর; চৈত্রের দুপরের মত সব হতে হবে স্বাভাবিক- কেমন জানি স্বাভাবিক! 

(November 25, 2010)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন